কামরুল হাসান :: সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দিঘলী খোজারপাড়া থেকে মাধবপুর পর্যন্ত রাস্তা যেন আর রাস্তা নয়—বর্ষা এলেই এটি পরিণত হয় এক দুর্ভোগের নদীতে। কাদা, পানি আর খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি কোনোভাবেই চলাচলের উপযোগী নয়। স্কুলগামী শিশুদের কান্না, বৃদ্ধদের থমকে যাওয়া পা—সব মিলিয়ে প্রতিদিনের চলাচলে রীতিমত পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
প্রায় ৩০০ ফুট রাস্তা ইতোপূর্বে ইটসলিং করা হলেও বাকি অংশের কাজ থেমে আছে অনেকদিন যাবৎ। একটু বৃষ্টি হলেই পুরোর রাস্তার স্থানে স্থানে জমে যায় পানি। ভরে যায় কাদায়৷ স্কুলের পোশাক পরে ছোট ছোট শিশুদের হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য যেন প্রতিদিনের নিয়মিত চিত্র হয়ে দাড়িয়েছে।
বিজয় দেব নামে এক স্কুলছাত্রের অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চাকে কোলে নিয়েই স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। কারণ, সে ওই রাস্তা দিয়ে তো আর হেঁটে যেতে পারবে না।’ এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি ওয়ারিছ আলী বলেন, ‘বৃষ্টির দিনে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে প্রচন্ড ভয় হয়, যদি হোচট পড়ে যাই!’
আলমাস আলী নামের একজন স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দুর্ভোগ আর সহ্য হয় না। এটা শুধু জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা নয়। এটা জাতির ভবিষ্যতদের চলাচলেরও রাস্তা।’
এদিকে, দ্রুত বেহাল এই রাস্তাটি ইটসলিং করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেজন্য তারা বিশ্বনাথের ইউএনও ও প্রকৌশলীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, রাস্তাটির জন্য কিছু করা যায় কি না, আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো’।