Search

বিশ্বনাথ পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড ৩ জনকে অব্যাহতি

২০২৩ সালের অক্টোবরে সিলেটের বিশ্বনাথ পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল ও পুলিশের উপর হামলা এবং যানবাহন ভাংচুরের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৩ জনের ০৩ (তিন) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো (০৬) ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।উক্ত মামলার এজাহারভূক্ত ৩ আসামি কে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিশ্বনাথ উপজেলা, ও ইউনিয়ন,ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী। গতকাল ০৮/০৫/২০২৫ ইং তারিখে -১৪৭/ ১৪৮/১৪৯/৩৩২/ ৩৩৩/ ৩৫৩/ ৪২৭/ ৩৪ দঃ বিঃ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে সাজা প্রদান করা হয়।

রায় ঘোষণার আগে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন বাতিল করেন এবং আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের ‘পলাতক’ ঘোষণা করেন।একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর হবে বলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে ।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। দণ্ডিত আসামীরা হলেন ১। মল্লিক উদ্দিন মঈন (৪৮) (সহ-সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি.এন.পি), বিশ্বনাথ উপজেলা শাখা), পিতা- আব্দুল মুতলিব, সাকিন- বরুনি, ২। মোঃ আশীদ আলী (৪২), (যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বিশ্বনাথ উপজেলা শাখা), পিতা-রহিম উদ্দিন, সাকিন- রামপুর, ৩। দেওয়ান আহমদ (৩৫) (অফিস সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি.এন.পি), বিশ্বনাথ উপজেলা শাখা) পিতা- আজমদ আলী, সাকিন- খাজাঞ্চি, ৪। মোঃ সামসুল ইসলাম (৩০) সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, দশঘর ইউনিয়ন শাখা, পিতা- মোঃ আমির আলী, সাকিন বরুনি, থানা- বিশ্বনাথ, জেলা- সিলেট, ৫। মোঃ শহিদ খান (৩৭) (সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিশ্বনাথ উপজেলা শাখা), পিতা- মোঃ হুরমত খান, সাকিন- বরুনি, ৬। ইকরাম হোসেন (৭১) (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিশ্বনাথ ৭। আব্দুর রহিম (২৪), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন, সাফিন-বরুনি, ৮। সাঈদ আহমদ সুহেল (২৯), পিতা- আজিদুর রহমান, সাকিন-দাওয়াই, ৯। সৈয়দ আকমল আলী (৩২), পিতা- সৈয়দ আসলাম আহমেদ, সাকিন-বিশ্বনাথ, ১০। জিল্লুর রহমান (৪৪), পিতা-মৃত মশাহিদ আলী, সাকিন-দশঘর, ১১। মাসুক উদ্দিন চৌধুরী (৩৫), পিতা- আন্দুল মনাফ, সাকিন- কামাল বাজার, ১২। সাব্বির আহমদ (২৯), পিতা-মাওঃ সফিউর রহমান, ১৩। মেজবাহ উদ্দিন খান (৩২), পিতা- ইসলাম উদ্দিন খান।

মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন ইলাছ মিয়া (২৫), পিতা- রহমান আলী, খেলু মিয়া পিতা-শাধন মিয়া (২২),ইরশাদ উল্লা (২৯) পিতা-হরমুজ মিয়া, সর্বসাৎ বরুনি, সর্ব থানা- বিশ্বনাথ, জেলা-সিলেট। মামলার বাদি বিশ্বনাথ থানার এসআই নিরঞ্জন কুমার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন ২৭/১০/২০২৩ইং তারিখ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আহুত সভায় সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বি.এন.পি ও ছাত্রদল সম্মিলিত ভাবে মিছিল বাহির করার চেষ্টা করে। অপরদিকে সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের লোকজন বিভিন্ন দিক হইতে খণ্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসিলে উপরোক্ত আসামীগণ সহ উভয় দলের মধ্যে মারামারি সৃষ্টি হইলে বিশ্বনাথ থানাধীন বিশ্বনাথ বাজারে অবস্থান করা পুলিশ দল উপরোক্ত নেতা-কর্মীদের মিছিলে বাঁধা প্রদান করেন। তখন মিছিলকারীরা বিভিন্ন দিকে ছত্রভঙ্গ হইয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে পুনরায় আসামীরা একত্রিত হইয়া রিক্সা, ফোরস্টোক (সি.এন.জি), পুলিশের ভ্যান ইত্যাদি ভাঙচুর করিতে আরম্ভ করিলে আমি সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাহাদেরকে বাধা প্রদান করিলে তাহারা উত্তেজিত হইয়া পুলিশ ফোর্সের প্রতি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিতে থাকে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে লাঠি চার্জ করিয়া তাহাদেরকে ছত্রভঙ্গ করিয়া দেয়। তাহাদের আক্রমনে আমি সহ পুলিশ কং-৫১ তৌকির আহমদ, হাবিলদার-৬৩ জামাল উদ্দিন খান, কং/২২০ সাহিদুর রহমান, কং-১০৭ রহমান সাইদ তরফদার মারাত্মক ও সাধারণ জখম প্রাপ্ত হই। সংবাদ পাইয়া পুলিশের অন্য পাটি এসে ধাওয়া করিয়া বে-আইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিয়া দেয়। উপরোক্ত আসামীগণ পরিকল্পিত ভাবে বে-আইনী সমাবেশে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বিশৃংখলা সৃষ্টি করিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করতঃ পুলিশকে মারধর করতঃ মারাত্মক ও সাধারণ জখমপ্রাপ্ত করিয়া রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন এর ক্ষতিসাধন করিয়াছে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত