Search

বিশ্বনাথে তিনমাস পর কবর থেকে পিকআপ চালকের লাশ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ৩ মাস ১৯ দিন পর কবর থেকে সুলতান মিয়া (২৭) নামের এক পিকআপ চালকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর গ্রামের ইরশাদ আলীর ছেলে। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনএম ইশফাকুল কবিরের উপস্থিতিতে ওই লাশ উত্তোলন করে থানা পুলিশ।


সূত্র জানায়, পিকআপ চালক সুলতান মিয়াকে গত ২১ জুন রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার পরিচিত কয়েকজন যানবাহন শ্রমিক। এ সময় তিনি অসুস্থতা বোধ করলে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মারা যান সুলতান। এরপর স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


এদিকে, গত ১৬ আগস্ট সুলতান মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ওই হত্যার বিচার চেয়ে সিলেটের আদালতে মামলা দেন তার স্ত্রী নাছিমা বেগম।

আদালতের নির্দেশে এটি ২০ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা (নাম্বার ১৪) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সুলতান মিয়ার গ্রামের যানবাহন শ্রমিক হান্নানের ছেলে শাহীন (২৫), ফারুক আলীর ছেলে মুহিন (২১), জয়ফর আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (২০) ও দশদল
গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে সুমনকে (২০)।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে উত্তর আজিজনগর গ্রামের জনৈক গৌছ আলীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে সুলতান মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

ভিকটিমের পুরো দেহ পাওয়া না গেলেও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়ের অংশ বিশেষ ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য সেগুলো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত