নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বল্লভপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাহিদ আলী ও খালিছুর রহমান গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একটি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় ৩০ বছরের পুরনো অর্ধশতাধিক পরিবারের চলাচলের এ রাস্তাটি সম্প্রতি গ্রামের লোকজন নিয়ে পাকা করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী খালিছুর রহমান গং। অপরদিকে, রাস্তার কিছু অংশ মালিকানা উল্লেখ করে গত ১লা ডিসেম্বর সিলেট আদালতে খালিছুর গংদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন প্রবাসী সাহিদ আলী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপর, সোমবার সকালে সাহিদ আলী পক্ষের লোকজন ভাড়াটে লোকসহ ওই রাস্তা ভাঙতে যান। ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আতংক সৃষ্টি করে রাস্তা ভাঙ্গা শুরু করেন তারা এ সময় অপর পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি সাহিদ আলীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাংচুর এবং একটি পাওয়ার টিলারে অগ্নিসংযোগ করে।
খালিছুর রহমান পক্ষের দিলাল মিয়া বলেন, ‘আমাদের গ্রামবাসির ব্যবহারের এ রাস্তাটি দীর্ঘদিনের পুরনো। সাহিদ আলী এ রাস্তা নিজের দাবি করে একাধিকবার মামলা-হামলা করিয়েছেন। সোমবার সকালে সন্ত্রাসী ভাড়া এনে পেট্রোল বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করেন তারা। আমরা গ্রামবাসি মিলে তাদের ধাওয়া দেই।
সাহিদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, ‘তারা (অপরপক্ষ) এর আগেও আমার জায়গা জবরদখল করতে চেয়েছিল। আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে গ্রামবাসির অনুরোধে বিরত থাকি। আমি দেশে আসার আগেই তারা রাতের আঁধারে আমার জায়গাসহ রাস্তা পাকা করে। সোমবার সকালে ৮ ফুট রাস্তা রেখে আমার লোকজন আমার জায়গাসহ ডোবা ব্যবহার উপযোগী করতে গেলে সবাই মিলে হামলা করে। হামলা করা হয় আমার বাড়িঘরেও।’
এ বিষয়ে (মঙ্গলবার দুপুরে) কথা হলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’
