Search

বিত্তবানদের সহায়তা চান বিশ্বনাথের ক্যান্সার আক্রান্ত দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সংসারের একটু স্বচ্ছলতার আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন সিলেটের বিশ্বনাথ পুরান বাজারের সাবেক দর্জি ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান (মুজিব টেইলার)। সেখানে কাজ করে ভালোই চালিয়ে নিচ্ছিলেন তাঁর চারজনের সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছেলে আফনান শাহরিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিলেন নিজের কাছে। দু’জনের রোজগারের টাকায় সুখেই চলছিল তাঁর সংসার। সংসারের খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে স্বপ্নের একটা বাড়ি করার জন্য ক্রয় করেছিলেন জমি। কিন্তু ২০২৩ সালে হঠাৎ একটি দুঃসংবাদ সব উলটপালট করে দেয় মুজিবুর রহমানের জীবনে। জানতে পারেন প্রিয়তমা স্ত্রী মিনা বেগমের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধী ক্যান্সার। বাবা-ছেলেকে নামতে হয় নতুন এক যুদ্ধে। দু’জনের রোজগারের টাকা দিয়ে চালিয়ে যেতে শুরু করেন মিনা বেগমের চিকিৎসা। এর মধ্যেই নাকের একটি সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে গত বছর দেশে ফেরেন মুজিবুর রহমান। চিকিৎসা করাতে গিয়ে চরম দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর শরীরেও ধরা পড়ে ক্যান্সারের উপস্থিতি। ফলে, মিনা-মুজিব দম্পতির সুখের সংসারে নেমে আসে একরাশ অন্ধকার। হতবিহ্বল আর অসহায় হয়ে পড়েন দু’জনেই।

বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (মাওনপুর) গ্রামের মৃত হাজী সমছু মিয়ার বড় মেয়ে মিনা বেগম ও তাঁর স্বামী মুজিবুর রহমানের একইসাথে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর তাদের আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসীর মাঝেও করুণ চিন্তার উদ্রেক তৈরি করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ক্যান্সার আক্রান্ত মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান নেত্রকোনায় হলেও তিনি কয়েক দশক ধরে বসবাস করে আসছেন বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি ওই গ্রামেরই স্থায়ী বাসিন্দা। স্বপ্নের বাড়ি বানাতে জমিও ক্রয় করেছিলেন ওই গ্রামেই।

একই সাথে মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত মিনা-মুজিব দম্পতি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে পৈতৃক ভিটেমাটি, স্বপ্নের বাড়ির জন্য কেনা জমি ও সামান্য সঞ্চয়টুকুর সবই শেষ করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। রোগের ভয়াবহতা এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার বিপুল খরচ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মিনা বেগমের চারজনের পরিবারকে ঠেলে দিয়েছে এক চরম আর্থিক সংকটের মুখে। বর্তমানে কঠিন দুর্বিষহ দিনযাপন করছেন তারা। বাবা-মায়ের চিকিৎসার টাকা, সংসারের খরচাপাতির টাকা ও নিজের খাওয়া-পরার খরচ অল্পবেতনের টাকা দিয়ে নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাদের স্বল্পবয়সী ছেলে আফনান শাহরিয়ার। তার মাঝেও ভর করেছে চরম অসহায়ত্ব।

একদিকে জীবন বাঁচানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা, অন্যদিকে চিকিৎসাব্যয় মেটানোর অক্ষমতা-এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের পুরো পরিবার আজ দিশেহারা। বেঁচে থাকার লড়াই তারা প্রাণপণে চালিয়ে যেতে গিয়ে দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন এখন।  
বর্তমানে মুজিবুর রহমান ও মিনা বেগমকে বাঁচাতে বড়ই প্রয়োজন চিকিৎসা সহায়তা। প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত মানবিকতার স্পর্শ।

একই সাথে একই পরিবারের মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত দু’দুটি জীবনের জন্য, একটি পরিবারকে চরম হত্যাশা থেকে টেনে তোলার জন্য, শুধুমাত্র অর্থের অভাবে যেন চিকিৎসা থেমে না যায়-সেজন্য, আসুন, সকলে মিলে একটি মানবিকতার সেতুবন্ধন তৈরি করি। আমাদের সামান্য অনুদানও মিনা-মুজিব দম্পতির চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর পথে এক বিশাল সাহায্য হতে পারে। আমাদের দেওয়া আর্থিক সহায়তা তাদের চিকিৎসায় নতুন আশা জাগাতে পারে এবং পরিবারে জাগাতে পারে আশার আলো।

মুজিবুর রহমান ও মিনা বেগমের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য স্থানীয় এলাকায় তরুণেরা হয়েছেন উদ্যোগী। সেই উদ্যোগে যুক্ত হতে পারেন আপনিও। যেকোনো পরিমাণের আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন তাদের চিকিৎসা সহায়তা তহবিলে। সহায়তা পাঠাতে পারেন ব্যাংক এশিয়া, এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট নাম : বাতিঘর, একাউন্ট নাম্বার : ১০৮৩৩৯১০০২১২১ (১০৮৩৩৯১০০২১২১), ব্রাঞ্চ : হেড অফিস/কর্পোরেট, রাউটিং নাম্বার : ০৭০২৭০৬০২ (০৭০২৭০৬০২) অথবা বিকাশ পার্সোনাল : মো. মুজিবুর রহমান, ০১৭২৩৩১২৪১৫ (০১৭২৩৩১২৪১৫) নাম্বারে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত