নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাসা থেকে ব্যাংকে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন মফিজুর রহমান বাবুল (৪৭) নামের বিশ্বনাথের এক ব্যাংকার। নিখোঁজের চার দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। উদ্বেগ–আশঙ্কায় দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা বাবুলকে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে চার দিনেও নিখোঁজ রহস্যের কোনো সমাধান খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরিবারের ভাষ্য, গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বের হন বাবুল। তিনি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরস্থ একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং বিশ্বনাথ পৌরসভার মজলিস ভোগশাইল গ্রামের মৃত হুসন আলীর ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেট শহরের পাঠানপাড়া শিববাড়ি এলাকায় বসবাস করছিলেন।
বাবুলের স্ত্রী শেখ জেসমিন রহমান জানান, ‘নিখোঁজের কিছুদিন আগে থেকেই তাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলতেন না। ঘটনার আগের দিন তার সাবেক কর্মস্থল ন্যাশনাল ব্যাংকে যাওয়ার বিষয়ে ফোন আসে। পরদিন দুপুরে খাবার শেষে তিনি স্বাভাবিকভাবে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে আর ফিরেননি। রাত ৮টার দিকে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাই। ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সেখানেও যাননি। তারপর থেকে আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার রাতেই আমার ভাইপো মোগলাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৫১৬) করেন। পরদিন আমি র্যাব-৯ এ আরেকটি জিডি দায়ের করি। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই।’
সূত্র জানায়, বাবুলের ব্যাংকের সঙ্গে কোনো লেনদেনসংক্রান্ত সমস্যা বা ব্যক্তিগত বিরোধের তথ্য মেলেনি। ফোন বন্ধ হওয়ার আগে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয় শহরের কদমতলী এলাকায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল আর সচল হয়নি। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কদমতলী থেকে কোথায় এবং কীভাবে নিখোঁজ হলেন তিনি?
তদন্তকারী কর্মকর্তা, এসএমপি’র মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূর উদ্দিন বলেন, ‘পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজের পেছনের কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। ফোন সচল হলে রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’