Search

বিশ্বনাথে কিশোরকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, মেম্বারসহ পাঁচজনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক কিশোরের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র। যা দেখে নিন্দা জানাচ্ছেন নেটিজেনেরা। দাবি উঠছে, এই অমানবিক ঘটনার সাথে জড়িতদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনার। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতের প্রথম প্রহরে মামলা (নাম্বার ১২) নিয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এর আগে রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে ওই কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার কিশোরের নাম ওলিউর রহমান (১৪)। তিনি উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের দিনমজুর রোহেল মিয়ার ছেলে।

সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লায়েক আহমদের বাড়িতে ‘গরুচোর সন্দেহে’ কিশোর ওলিউরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় তাকে।

এদিকে, আলোচিত এই নির্যাতনের ঘটনায় ওলিউরের মা জলি বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুুক্ত করা হয়েছে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লায়েক আহমদকে।

ওলিউরের পিতা রোহেল মিয়া জানান, ‘আমার নিরপরাধ ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে মেম্বারের বাড়ি নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ওই গ্রামের মবশির আলীর ছেলে আবদুল বারিকসহ একাধিক লোকজন এ কান্ড ঘটায়।’

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি লায়েক আহমদ গনমাধ্যমকে জানান, ‘আমি বাড়িতে থাকাকালে কোন কিশোরের উপর নির্যাতন করা হয়নি। তাকে মুরব্বিদের জিম্মায় রেখে যাবার পর এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত