Search

বিশ্বনাথে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

মশিউর রহমান :: সিলেটের বিশ্বনাথে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমাভা (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পৌর শহরের মর্ণিং স্টার একাডেমীতে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রশাসক সুনন্দা রায়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা দেয়া শেষ হলে টিকা কার্ডটি যত্ম সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। ভবিষ্যতে বিদেশযাত্রাসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা এবং টিকা পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ টিকা কার্ডটি প্রয়োজন হবে। এই টিকা দিতে ধর্মীয় কোনো বাঁধানিষেধ নেই।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে উপজেলার ২৪টি কেন্দ্রে এ টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে উপজেলার ৪৩২টি কেন্দ্রে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী বা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১৩ হাজার ১৩২জন কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলওয়ার হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আলা উদ্দিন কাদের, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল হামিদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মতিউর রহমান, আল-মদিনা একাডেমীর প্রিন্সিপাল বাবুল মিয়া, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমদ, বিশ্বনাথ মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কামাল মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নবীন সুহেল, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিময় ভট্টাচার্য, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) সুজিত রঞ্জন দত্ত, মর্ণিং স্টার একাডেমীর প্রিন্সিপাল গৌছ উদ্দিন। 

প্রসঙ্গত, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশ্বনাথে বিনামূল্যে ১৩ হাজার ১শ ২৩ জনকে  কিশোরীকে এইপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্কুল পর্যায়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরা বিনামূল্যে পাবে এই টিকা। এক ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন চলবে ১৮ দিন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ জরায়ু মুখ ক্যান্সার। শুধু এক ডোজ এইচপিভি টিকা নেবার মাধ্যমে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। সরকারিভাবে বিনামুল্যে এই টিকা ১০-১৪ বছরের বিদ্যালয়বহির্ভুত কিশোরী এবং পঞ্চম ও সমমানের শ্রেণিতে অধ্যয়নরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রীদের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে। প্রথম দুই সপ্তাহে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে এই টিকাদান চলবে। একই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান চালু থাকবে। 

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত