Search

দাবদাহেও ঘন ঘন লোডশেডিং, চরম ভোগান্তিতে বিশ্বনাথবাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চলছে তীব্র দাবদাহ। বেড়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও তাপমাত্রার প্রবাহে নাকাল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাবাসি। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার বাসিন্দাদের মনে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

পল্লীবিদ্যুৎ অফিস বলছে, চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় এমন পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুর আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। সেই সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে বিদ্যুতের। শুরু হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। পুরো ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকছে অর্ধেকেরও কম সময়।

পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিস সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ উপজেলায় ৫১ হাজার বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে প্রয়োজন ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে আমরা সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ৮-১২ মেগাওয়াট। সরবরাহ প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনায় ঘাটতি পূরণের জন্যে প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা করতে হচ্ছে লোডশেডিং।

গ্রাহকরা জানান, রাত-দিন মিলে অর্ধেকের বেশি সময় আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। কিন্তু, মাস শেষে ঠিকই বিলের বোঝা টানতে হচ্ছে আমাদের। লোডশেডিংয়ের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র। অচল হয়ে পড়ছে ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ। তাছাড়া, তীব্র গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের এমন অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বয়স্ক মানুষজন। পড়ালেখায় ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে কথা হলে পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি করা বিদ্যুৎ, গ্যাসভিত্তিক কিছু প্লান্টগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাহিদার কমবেশি অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তাই, এলাকা ভিত্তিক সমন্বয় করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এক এলাকায় এক ঘন্টা সরবরাহ বন্ধ থাকলে পরের ঘন্টায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ দিয়ে অন্য এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত