নিজস্ব প্রতিবেদক :: ‘আমি দুনিয়ায় অসহায়। দুনিয়ায় আমার আপন কেউ নেই। আমার মৃত্যুর পর লাশ চালিবন্দর (সিলেট) নিয়ে দাহ করবেন। আমার মেয়ে রূপা ছাড়া আমার মুখ দেখার আর কারো অধিকার নেই। আমি আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আমার মেয়ে রূপাকে দিয়ে গেলাম।’ চিরকুটে এসব কথা লিখে সিলেটের বিশ্বনাথে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ব্যবসায়ীর নাম তাপস তালুুকদার (৫০)। তিনি সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত জ্যোতিষ তালুকদারের ছেলে এবং বিশ্বনাথ পৌরশহরের পুরান বাজারের হিন্দুপাড়ার রুকন মিয়ার ভাড়াটিয়া।
গতকাল রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত ৮টায় ওই বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে বিশ্বনাথ পৌরশহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তাপস তালুকদার। পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। গত বছরের অক্টোবর থেকে স্ত্রীর সাথে চলছিল পারিবারিক কলহ। এরপর থেকে আলাদা বসবাস করতেন তারা। স্ত্রী ও মেয়ে তার শ্যালকের কাছে থাকতেন অন্য বাসায়। তিনি একাই থাকতেন পুরনো বাসায়। হতাশা থেকে ছেড়ে দেন ব্যবসাপাতিও। এক পর্যায়ে বেঁচে নেন আত্মহননের পথ।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনিক বড়ুয়া জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করি। ভিকটিমের লাশ ঝুলন্ত দেখতে পাই। লাশ পঁচে পোকা ধরেছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি ৩ থেকে ৪ দিন আগের। লাশ উদ্ধারের সময় একটি ‘চিরকুট’ও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’