নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্বনাথ পৌরশহরের আল-হেরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী ও পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আমজাদ আলী তার উপর হামলা ও গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় বুধবার (২১ আগস্ট) এ মামলা (নাম্বার ১২) দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৭০।
মামলায় সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুনুু মিয়া, সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতসীন, বিশ^নাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সিতার মিয়া ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা কর্মসূচি প্রতিহত করতে বিশ্বনাথ পৌর শহরে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেল যোগে আল-হেরা শপিং সিটির নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জামায়াত নেতা আমজাদ আলী। বাসিয়া ব্রিজের সম্মুখে পৌঁছামাত্র তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুড়িয়ে দেয়া হয় তার মোটরসাইকেলও। পরে আত্মরক্ষায় তিনি আল-হেরা শপিং সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় ওই নেতাকর্মীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন আল-হেরা শপিং সিটি। ইটপাটকেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও।
মামলার সত্যতা স্বীকার করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘হামলা ও গাড়ী পোড়ানোর ঘটনায় এই মামলা হয়েছে। মামলায় ১০৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামি রয়েছেন। আসামিদেরকে ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’