নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের তিনদিন পর আমিন মিয়া সিয়াম (১৬) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের আবু বকরের ছেলে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর এফসি ইটভাটা সংলগ্ন হাওর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পিতা আবু বকরের সাথেই শ্রমিক হিসেবে ওই ভাটাতেই কাজ করতেন কিশোর সিয়াম।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী (৫৩) ও ট্রাক্টর চালক রবিউল ইসলামকে (৪৮) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহতের পিতা আবু বকর জানান, ‘গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পাশর্^বর্তী এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় সিয়াম। পরদিন সকালে কাজে না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও কোন সন্ধান না পেয়ে ওইদিনই বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী (৪৮) হত্যা করেছে। প্রায় ৮/৯দিন পূর্বে ইটভাটার মেশিন মেরামত নিয়ে তার সাথে সিয়ামের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই মেকানিক একাধিকবার সিয়ামকে খুন করবে বলে হুমকিও দিয়েছে। বিষয়টি ইটভাটার ম্যানেজার রফিক মিয়াকেও অবগত করেছি। কিন্তু ম্যানেজার গাফিলতি করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। আমি ছেলে হত্যার বিচার দাবি চাই।’
গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে ম্যানেজার রফিক মিয়া বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে আমি বিষয়টি সমাধান করে দিই।’
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে দু’জনকে থানায় এনেছি। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’