Search

২১ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হল না বিশ্বনাথের আশাইয়ের

শেষ রক্ষা হল না বিশ্বনাথের আশাইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক :: হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ২১ বছর পালিয়ে থেকেও হল না শেষ রক্ষা। সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হল মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আশরাফুল হক আশাইকে (৪৮)। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজার-জমশেরপুর ব্রিজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশাই ওই ইউনিয়নের কাঠলিপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঝাঝড় এলাকার চেরাগ আলীর ছেলে জিলু মিয়া পাশর্^বর্তী নাছিমপুর এলাকার সিদ্দিক আলীর বেবীট্যাক্সি ভাড়ায় চালাতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টায় বেবীট্যাক্সি নিয়ে বের হন। ওইদিন রাত ৯টার দিকে যাত্রীবেশে উপজেলার নাজির বাজার থেকে ফরিদপুর সড়কের আবদারখালের পূর্বপাশে নিয়ে জিলু মিয়াকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর বেবীট্যাক্সি নিয়ে পালিয়ে যান আশাই ও তার তিন সহযোগি। এর পরপরই গা ঢাকা দেন তিনি। ঘটনার একদিন পর ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। পরে বিচারের জন্য মামলাটি জিআর-১৫১/২০০২ মূলে আদালতে যায়।

চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর (রবিবার) বিকেলে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে মূল অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম আশাইকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় এক লাখ টাকা। অন্য তিন অভিযুক্তের মধ্যে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট কামরাবন্দ গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে নাজির আহমদ নজরুল ইসলাম ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি (মাঝপাড়া) এলাকার মোতালেব মিয়ার ছেলে আবু চান সাব্বিরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অপর অভিযুক্ত ছায়েক আহমদ ছালেক মিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত