নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পৌরসভার ছত্তিশ গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে ও পৌর বিএনপির সহযুব বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী (৪২), দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরী গ্রামের আরকান আলীর ছেলে ও ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেবুল মিয়া (৫০), বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের ছুফি মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তার মিয়া (৩৫), রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা (উত্তরপাড়া) গ্রামের ইর্শাদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান (৩৫) এবং পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মশুলা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে ও বিএনপির সমর্থক রুবেল আহমদ (৩০)। এর আগে একই মামলায় সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের অশ্বিনী মালাকারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মালাকারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চী রোডে বিএনপির মশাল মিছিল থেকে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি, পুলিশের উপর আক্রমণ এবং নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর সরকার বাদী হয়ে বিএনপির ৩৩ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৭ (তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩ইং)।
মামলা দায়ের ও ৫ জনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামীদেরকে আজ (বুধবার) সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। যারাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’