নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শ্রমিক নেতা ফজর আলী ও তার শ্যালক মাছুম হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী ৩ নাম্বার আদালতে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা (নাম্বার ৩২৮) দায়ের করেছেন তার খালা শাশুড়ী পৌরশহরের শাহজিরগাঁও গ্রামের লুকমান মিয়ার কন্যা ও আমরোজ আলীর স্ত্রী প্রবাসী আফতেরা বিবি। ওই মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সাজানো দাবি করে এবার খালা শাশুড়ীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কাউন্সিলর ফজর আলী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই প্রস্তুতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘কারো প্ররোচনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়িয়ে ওই মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী প্রবাসী আফতেরা বিবি আমার খালা শাশুড়ী এবং অভিযুক্ত মাছুম হোসেন আমার শ্যালক। তাদের পারিবারিক বিরোধের জেরে একাধিক মামলা পাল্টা মামলা চলমান রয়েছে। আমি তাদের সেই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যে মধ্যস্থতা করেছি। সালিশে আমি অন্যায়ভাবে খালা শাশুড়ীর পক্ষ নেইনি বলেই তিনি আমাকে ওই সাজানো মামলায় অভিযুক্ত করেছেন। সালিশে তার পক্ষে রায় দিলে তিনি আমাকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তার অন্যায় প্রস্তাব আমি গ্রহণ করিনি। তিনি একই বিষয়ে ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। প্রথম দুটিতে শুধুমাত্র আমার শ্যালক মাছুম হোসেনকে অভিযুক্ত করেছেন কিন্তু তৃতীয় মামলায় আমার শ্যালকের সাথে আমাকে অভিযুক্ত করেছেন। তার দায়ের করা ৩টি মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় একটি মামলার (নাম্বার ৬৩/২৩) ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন। সুষ্ঠু তদন্তের পর অপর দুটি মামলাও মিথ্যা প্রমাণিত হবে-ইনশাআল্লাহ।’
ফজর আলীর শ্যালক মাছুম হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৭/৮ বছরে আমি আমার খালার (আফতেরা বিবি) প্রায় ৭০ লাখ টাকার কাজ করেছি। ইতোমধ্যে ৫০ লাখ টাকা পেয়েছি। বাকি ২০ লাখ টাকা চাইলে তিনি তার ছেলে ফয়সল আহমদের একটি চেক দেন। ব্যাংকে গিয়ে এই চেকে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। ফলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খালা আদালতে আমার বিরুদ্ধে জমি ক্রয় সংক্রান্ত ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ৩টি মামলা করেন। ‘
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী আফতেরা বিবিকে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি একবারও কল রিসিভ করেননি।