ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলের হয়ে ৬ মৌসুমে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতে জার্মানিতে পাড়ি জমান সেনেগালিজ সাদিও মানে। তিন বছরের চুক্তিতে বাভারিয়ান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রথম বছরেই বুন্দেসলিগা ও সুপার কাপের শিরোপাও জেতেন সেনেগালিজ এই স্ট্রাইকার। তবে চোট ও বাজে ফর্মের কারণে এক বছরের মাথায় তাকে জার্মানি ত্যাগ করে পাড়ি জমাতে হয়েছে সৌদি আরবে। ৩১ বছর বয়সি এই তারকা এবার নাম লিখিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসরে। এরই মধ্যে অভিষেকও হয়েছে মানের।
তবে বায়ার্নের প্রতি মানের যে অসন্তোষ রয়ে গেছে, তা প্রকাশ পেল সাদিও মানের এজেন্ট বাকারি সিজের কথায়। তার দাবি আফ্রিকান হিসেবে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে মানের সঙ্গে বায়ার্নে।
বাকারি সিজের দাবি, সৌদি লিগের কাঁড়িকাঁড়ি অর্থের মোহে সৌদি আরবে যাননি মানে। বরং বায়ার্ন মিউনিখই তাকে বের করে দিতে চেয়েছে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘আফটার ফুট আরএমসি’তে অংশ নিয়ে সিজে বলেন, ‘(বায়ার্ন) ফুটবলীয় কারণে বিক্রি করেনি। মানে যে বেতন পেত, সেটা মানতে পারছিল না জার্মানরা। ওরা বুঝতে পারছিল না, একজন আফ্রিকান কীভাবে এই দলে এল, আর সবার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছে। যে কারণে ওরা মানেকে ত্যাগ করতে চাইছিল।’
ইউরোপের ফুটবলে তার এখনও অনেক দেওয়ার ছিল বলেও দাবি মানের এই এজেন্টের। বায়ার্নের জার্সিতে তার অনেক কিছু প্রমাণের সুযোগ প্রাপ্য ছিল বলেও মত সিজের। দুইবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় মানের সঙ্গে বায়ার্নের আচরণ পেশাদার ছিল না বলে দাবি সিজের। তার মতে, অকৃতজ্ঞের আচরণ করেছে জার্মান ক্লাবটি, ‘তারা কখনোই সাদিওকে সামনাসামনি ডেকে বলেনি যে তোমাকে আমরা আর চাই না। তারা শুধু টুখেলকে পাঠিয়েছে। টুখেল বলেছেন, “তোমার উইংয়ে তৃতীয় পছন্দ হয়ে থাকতে হবে।” সাদিওর তো জার্মানদের কাছে প্রমাণের কিছু নেই। সে আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা তো বায়ার্নের কারণে নয়, লিভারপুলের কারণে। বায়ার্ন কৃতজ্ঞ ছিল না। একজন আফ্রিকানকে সব টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে, এটা ওদের পোড়াত।’
অবশ্য মানেকে বিক্রি করার পেছনে তার ফর্মই মূল কারণ দাবি করেছে বায়ার্ন। বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল একাধিকবার ‘মানেকে আরও চ্যালেঞ্জ নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন। অবশ্য মানের ফর্মও ভালো যাচ্ছিল না, বায়ার্নে এক বছরে ৩৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২ গোল করতে পারেন তিনি। চোটের কারণে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার সঙ্গে যোগ হয় গত এপ্রিলে সতীর্থ লেরয় সানের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানার মতো আচরণসম্পর্কিত বিষয়ও।